- Shop
 - UPL Series
 - আগুনমুখার মেয়ে: এক লড়াকু নারীর জীবনস্মৃতি
 
আগুনমুখার মেয়ে: এক লড়াকু নারীর জীবনস্মৃতি
http://159.65.136.82/shop/9789845064231-11666 http://159.65.136.82/web/image/product.template/11666/image_1920?unique=b656810
| Language: Bangla | 
Tags :
Book Info
আগুনমুখার মেয়ে: এক লড়াকু নারীর জীবনস্মৃতি বহু বিবেচনাতেই একটি অনন্য সাধারণ স্মৃতিকথা। দক্ষিণ বাংলার আগুনমুখা নামের প্রমত্তা নদীর তীরের কাটাখালি গ্রামে যাত্রা শুরু করা একজন নারী তাঁর সংগ্রামী মনোবৃত্তির জোরে অজস্র প্রতিকূলতা পেরিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অজস্র অভিঘাতের মুখোমুখি হয়েছেন, আগুনমুখার মেয়ে সেসবের একটি রোমাঞ্চকর বিবরণ। নূরজাহান বোস তাঁর সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সব আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন, ফলে খুব কাছ থেকেই দেখতে পেয়েছেন তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনাবিন্দু থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ। ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছেন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সারথীদের সাথে। এই অর্থে বলা যায়, তাঁর জীবনটি সমকালীন সমাজ, রাজনীতি ও সংগ্রামের একটি বিশ্বস্ত দলিল। নারী হিসেবেও নূরজাহান বোসের স্মৃতিকথার মূল্য বিপুল। অজস্র আঘাতে ভেঙে না পড়া তেজোদীপ্ত একজন নারী অজস্র শোক ও আঘাতে বিপর্যস্ত হয়েও যেভাবে বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, সেই কাহিনী অবিস্মরণীয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অসংখ্য বাধা নূরজাহান বোসকে অতিক্রম করতে হয়েছে, খোলাখুলিই নূরজাহান আলোচনা করেছেন যৌন হেনস্তার শিকার হবার কথা, কিন্তু এই সব কিছুকে মাড়িয়েই তিনি নতুন নতুন যাত্রায় সামিল হয়েছেন, প্রতিবার সীমা ডিঙিয়ে নতুন জগতে পা রেখেছেন। আগুনমুখার মেয়ে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা যেতে পারে গ্রন্থটির অন্তর্নিহিত প্রেরণার আকর্ষণেই। আর বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, নারীর ইতিহাস, প্রগতিশীল সংগ্রামের ইতিহাস বা বাংলাদেশের সমাজের বিবর্তনের ইতিহাসের আগ্রহী গবেষক ও ইতিহাসবিদেরা এই গ্রন্থে পাবেন অজস্র মূল্যবান সূত্র।
নূরজাহান বোস
নূরজাহান বোস জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৪ মার্চ। বড় বাইশদিয়া দ্বীপ, পটুয়াখালির কাটাখালিতে। মা জোহরা বেগম, বাবা আব্দুর রাজ্জাক। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। মায়ের উৎসাহ ও চেষ্টায় পরিবার ও সমাজের পশ্চাৎপদতা ও বাকিসব প্রতিকূলতা জয় করে ১৯৫৪ সালে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাদউল্লাহর সাথে ১৯৫৫-তে বিয়ে হয়। এরপর বছর না ঘুরতেই জলবসন্তে আক্রান্ত হয়ে ইমাদউল্লাহর মৃত্যু হয়। শিশু ছেলেকে নিয়ে ১৮ বছর বয়স থেকে নূরজাহান বোস স্বাবলম্বী হতে চাকরি শুরু করেন মেয়েদের হোস্টেলে। এরপর তিনি বরিশালের বিএম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেন। ১৯৬৩ সালে তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টির যুবনেতা এবং ইমাদউল্লাহর বন্ধু স্বদেশ বোসের সঙ্গে বিয়ে হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে দেশের পক্ষে সমর্থন