- Shop
- Architecture
- আধুনিক স্থাপত্যধারার চার মহানায়ক
আধুনিক স্থাপত্যধারার চার মহানায়ক
http://159.65.136.82/shop/9789849517573-13867 http://159.65.136.82/web/image/product.template/13867/image_1920?unique=90f5a49
| Language: Bangla |
Book Info
সময়ের বিবর্তনে মানুষের সমাজে ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকে। প্রাচীনকালের যেসব ঐতিহাসিক নিদর্শন এখনও টিকে আছে বর্তমান যুগে সেগুলি শুধুমাত্র দর্শনীয় স্থান, কারণ সেগুলির ব্যবহারিক মূল্য প্রায় শূণ্য। এই পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামক হল প্রযুক্তির ধারাবাহিক উন্নতি। কল-কারখানার উৎপাদনের সাথে হস্তশিল্প পাল্লা দিতে অক্ষম। সপ্তদশ শতকে ইউরোপের শিল্প-বিপ্লব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এক অভাবনীয় গতির সঞ্চার করেছিল। ইউরোপের শিল্পোন্নত দেশগুলি নয়া প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশেষভাবে সফলতা অর্জন করে। গৃহ নির্মানে ব্যবহৃত চিরায়ত পদ্ধতি ও উপকরণ ক্রমশই সময় সাপেক্ষ ও ব্যয় বহুল বলে বাতিল হওয়া শুরু হয়। এ সময়ে স্থাপত্য শিল্পে নতুন শিল্প ও প্রযুক্তিকে গ্রহন করবার আকাংখায় যে নতুন শিল্পধারা জন্ম নেয় তাকে শিল্পবোদ্ধারা 'আধুনিক স্থাপত্যধারা' হিসাবে অভিহিত করেন। ফ্রাংক লয়েড রাইট, মিইজ ভ্যানডের রোহ, লে কবুযিয়ে এবং লুই, আই কা'ন, এই চারজন বিশ্ব বিখ্যাত স্থপতি 'আধুনিক স্থাপত্যধারার' সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব। এদের মধ্যে লুই. আই. কা'ন বাংলাদেশে খুবই পরিচিত তার বিখ্যাত শের-এ-বাংলা নগর ও সংসদ ভবন পরিকল্পনার জন্য। মানুষের রচিত শিল্প মাধ্যমগুলির মধ্যে 'স্থাপত্য' সবচেয়ে প্রভাবশালী শিল্প। বর্তমানে সারা বিশ্বে স্থাপত্য চর্চার প্রচলিত ধারাগুলি ওই 'আধুনিক ধারা' থেকেই পল্লবিত। স্থাপত্যে আধুনিক ধারাকে বাংলাভাষী পাঠকদের কাছে তুলে ধরাই এই প্রকাশনার প্রধান উদ্দেশ্য। এই চারজন স্থপতির সম্মন্ধে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে 'স্থাপত্য ও নির্মাণ' পত্রিকায় সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ওয়েব জার্নাল হিসাবে প্রকাশিত পত্রিকাটি এবং স্বর্ণালী পাবলিশার্স একই পরিবারভূক্ত। বই আকারে প্রকাশের জন্য পূর্বের লেখাগুলোকে পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। বাড়তি আকর্ষণ হিসাবে রয়েছে অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের লেখা একটি মুখবন্ধ যা মূল লেখার একটি যথার্থ সম্পূরক। বইটির প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও গ্রাফিক ডিজাইন করেছেন স্থপতি নিশি সাইমুন ও স্থপতি ফাইজা ফাইরুজ।
কাজী আনিস উদ্দিন ইকবাল
কাজী আনিস উদ্দিন ইকবাল পেশায় একজন স্থপতি। যশোর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তিনি 'স্থাপত্য ও নির্মাণ' ওয়েব পত্রিকার সম্পাদক। স্থাপত্য ও শিল্পকলা বিষয়ে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। তিনি দেশের প্রখ্যাত ডেভেলপার কোম্পানি বিল্ডিং ফর ফিউচার লিঃ-এর একজন উদ্যোক্তা, এছাড়াও দেশের নির্মাণ ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তি আমদানি করে এ দেশের স্থপতিদের সৃষ্টির জগৎকে প্রসারিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন, বুয়েটে তৎকালীন জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'অবয়ব' গঠন করেছেন। দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক সংগঠন 'উদীচী'র কেন্দ্রীয় কর্মকাণ্ডের সাথেও কিছুদিন জড়িত ছিলেন। 'বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর' প্রতিষ্ঠালগ্নের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এখনও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে তার স্ত্রী নাহিদ